বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।
লালমনিরহাটে সবুজে ভরে উঠেছে। কৃষি প্রধান এই জনপদে এখন চোখ মেললেই সবুজ আর সবুজ। উপরে নীল সাদা মেঘের ভেলা। নিচে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সবুজ ধানক্ষেতসহ নানা ধরনের ফলের বাগান। সবকিছুই নতুন পাতায় সবুজাভ। সবকিছু সবুজে একাকার। যেন সবুজ চাদর বিছানো সমতল। বর্তমানে আমন ধানের চারাগুলো কিছু কিছু শিষ দেওয়া শুরু করেছে। আর কিছুদিন পরেই ধানক্ষেতগুলো ভরে যাবে শিষ দিয়ে। কৃষকরা বলছেন, এবছর আবহাওয়া অনেক ভালো । সময়মতো বৃষ্টি হয়েছে। রোদও পাওয়া গেছে। তাই ধানের ফলন ভালো হবে।
সকালের সূর্যের আলো ছড়িয়ে দেয় এক ধরনের মুগ্ধতা, দুপুরে অন্যরকম, বিকেলের গোধুলীর রং ছড়িয়ে পড়ে সবুজ ঘেরা মাঠে। এবার আমনের ফলন ভালো হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করছেন কেউ কেউ । বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, মৃদু বাতাসে দুলছে ধানক্ষেত। কেউ কেউ ব্যস্ত সময় পার করছেন আমন পরিচর্যায়। ধানের শিষে তাই নতুন স্বপ্ন বুনছেন তারা। কৃষকরা জানান, কীট-পতঙ্গ পোকা মাকড়ের আক্রমণ বেড়েছে। সার কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমন আবাদে খরচের পরিমাণ বেড়েছে। তবে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কালীগঞ্জ তৎপরতায় রোপা আমন ধানে একদিকে রোগ-পোকামাকড় যেমন করা যাচ্ছে দমণ অন্যদিকে জমিতে বেড়েছে সুষম মাত্রায় সারের ব্যবহার।
ফলশ্রুতিতে আশা করা যাচ্ছে এ বছর আমন ধানের উৎপাদন বেড়ে যাবে, পাশাপাশি উৎপাদন খরচ থাকবে সহনীয় পর্যায়ে । কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দপুর ইউনিয়নের সতীরপাড় এলাকার কৃষক ইব্রাহিম আলী, জানান, প্রতি ২৭সতাংস জমিতে আমন আবাদ করতে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভালো হলে এখন বিঘা প্রতি হাইব্রিড ১৬ থেকে ১৮ মণ, উফশী ১২থেকে ১৪ মণ ধান পাওয়া যাবে। এবারে ধানের দাম ভালো পাবো বলে আশা করছি। আমরা কৃষক মানুষ ।খাবারের জন্য কিছু ধান জমা রাখতে হয়। কিছু ধান বিক্রি করে সারা বছরের কেনা কাটা, বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে হয়। গৃহস্থালি কাজ কাম তো আছেই। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। তাই উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম না পেলে খুব অসুবিধা হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাহমুদা বেগম বলছেন, উপজেলায় এ বছর ১৭, ২৮৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। তিনি আরো জানান, সবুজে ভরে গেছে কালীগঞ্জ এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে। আমনের আবাদ ভালো হয়েছে। ফলনও ভালো হবে আশা করছি। ধানের ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা।